এনড্রয়েড হার্ডওয়্যার

এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন স্মার্টফোন, নেটবুক, টেবলেট, গুগল টিভি এবং অন্যান্য যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়
এনড্রয়েডের মূল প্লাটফর্ম হল এআরএম আর্কিটেকচার। যেখানে এক্স৮৬ সাপোর্ট পাওয়া যায় এনড্রয়েড এক্স৮৬ প্রজেক্ট থেকে, এবং গুগল টিভি এনড্রয়েডের এক্স৮৬ ব্যবহার করে

প্রথম বানিজ্যিক এনড্রয়েড ফোন ছিল এইচটিসি ড্রিম, যেটা ২২শে অক্টোবর ২০০৮ সালে বাজারে আসে ২০১০ সালের শুরুর দিকে আধিপত্য বিস্তারে গুগল এইচটিসির সাথে একসাথে কাজ করে নেক্সাস ওয়ান বাজারে ছাড়ে এরই ধারায় স্যামস্যাঙ তৈরী করে নেক্সাস এস
একটি জেইলব্রোকেন বা লক ভাঙ্গা আইফোন অথবা আইপড টাচে আইওএস (এ্যপল আইফোন অপারেটিং সিস্টেম) এবং এনড্রয়েড ·· জিন্জারব্রেড একসাথে চলতে পারে দ্বৈত বুটের মাধ্যমে। দ্বৈত বুটের জন্য ওপেনআইবুট এবং আইড্রয়েডের সাহায্য প্রয়োজন

ব্যবহার

যদিও এনড্রয়েড তৈরী করা হয়েছিল স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটগুলোর জন্য তবুও এর পরিবর্তনসক্ষমতা মুক্ত ব্যবহার বৈশিষ্ট্যের কারনে অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে যেমন ল্যাপটপ, নেটবুক, স্মার্টবুক এবং ইবুক রিডার প্রভৃতি
আরো জানা যায়, গুগল তাদের এনড্রয়েডকে টেলিভিশনে আনতে আগ্রহী গুগল টিভির মাধ্যমে। এছাড়াও এই অপারেটিং সিস্টেমটি হাতঘড়ি, হেডফোন, গাড়ির সিডি এবং ডিভিডি প্লেয়ার, ডিজিটাল ক্যামেরা, বহনযোগ্য মিডিয়া প্লেয়ার এবং ল্যান্ড লাইনগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে

এপ্লিকেশন

এনড্রয়েড মার্কেট

এনড্রয়েড মার্কেট হল এনড্রয়েড মোবাইলগুলোর সফটওয়্যার বাজার। এনড্রয়েড ফোনগুলোতে আগে থেকেই "মার্কেট" নামে একটি এপ্লিকেশন থাকে যা ব্যবহারকারীদের সফটওয়্যার ব্রাউজ এবং ডাউনলোড করার সুযোগ দেয়। এতে থার্ড পার্টিরাও সফটওয়্যার তৈরী করে এবং মার্কেট সেগুলোর পক্ষে বাজারজাত করে। ২০১০ সালে ডিসেম্বর অনুযায়ী, এনড্রয়েড মার্কেটে গেমস, এপ্লিকেশন এবং উইডগেট মিলিয়ে এপ্লিকেশনের সংখ্যা প্রায় ,০০,০০০' বেশি ২০১১ সালের এপ্রিলে গুগল জানায় যে প্রায় বিলিয়ন এনড্রয়েড এপ্লিকেশন ইন্সটল করা হয়েছে
গুগলের ক্লোজ-সোর্সের সাথে খাপ খায় এমন মোবাইলগুলোই শুধু এনড্রয়েড মার্কেট এপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারে মার্কেট ব্যবহারকারীর মোবাইলের সাথে চলবে এমন সফটওয়্যারগুলো প্রকাশ করে। এবং যারা এপ্লিকেশন বানান তারাও কিছু কিছু দেশ বা মহাদেশে তাদের এপ্লিকেশন না চালানোর সিদ্ধান্ত নিলে (ব্যবসায়িক সীমাবদ্ধতার কারনে) এর মাধ্যমে সেটা ঠিক করা হয়
ব্যবহারকারীরা সরাসরি এপ্লিকেশন ইন্সটল করতে পারে এপিকে ফাইল ব্যবহার করে অথবা বিকল্প কোন মার্কেট থেকে। এ্যপলের মত, গুগল তাদের এনড্রয়েড এপ্লিকেশন বাজার ধরে রাখেনি বরং তারা স্বাধীনভাবে এপ্লিকেশন বাজার করতে দিয়েছে অন্যদেরকে

গুগল এপ্লিকেশন

গুগলও এনড্রয়েড মার্কেটে যোগ দিয়েছে তাদের সেবার বিভিন্ন এপ্লিকেশন তৈরী করে। এগুলোর মধ্যে আছে গুগল ভয়েস যেটি গুগল ভয়েস সেবার জন্য তৈরী, তারা দেখার জন্য "স্কাই ম্যাপ", আর্থিক সেবাদির জন্য "ফিন্যান্স", মাইম্যাপ সেবার জন্য ম্যাপ এডিটর, স্থানীয় সেবার জন্য "প্লেসেস ডিরেক্টরি", ছবি দিয়ে খোজার জন্য "গুগল গগলস", ফোনের মধ্যকার বিষয়াদি খোজার জন্য "জেস্টার সার্চ", অনুবাদের জন্য "গুগল ট্রান্সলেট", কেনাকাটার জন্য "গুগল শপার", এছাড়াও "মাই ট্রেকস" এবং "লিসেন ফর পডকাস্টস" তাদের আরো দুটি এপ্লিকেশন
২০১০ সালের আগষ্টে, গুগল শুরু করে "ভয়েস একশনস ফর এনড্রয়েড" যেটি ব্যবহারকারীদের সার্চ বা খোজা, বার্তা লিখা এবং কল শুরু করার জন্য ভয়েস বা কন্ঠ ব্যবহার করে

সফটওয়্যার উন্নয়ন

এপ্লিকেশনগুলো সাধারণত তৈরী করা হয় জাভা ভাষায়, এনড্রয়েড সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট ব্যবহার করে। কিন্তু অন্যান্য আরো টুলস যেমন নেটিভ ডেভেলপমেন্ট কিট এবং গুগল এপ ইনভেন্টরও ব্যবহার করা হয়

নিরাপত্তা

বাজারজাতকর

এনড্রয়েডের লোগো
এনড্রয়েড লোগোটি নকশা করা হয় ড্রয়েড ফন্ট তৈরী করার সময় এসচেন্ডার কর্পোরেশন কতৃক
সবুজ রংটি এনড্রয়েড রোবটকে নির্দেশ করছে যা এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। এর প্রিন্ট রং হল পিএমএস ৩৭৬সি এবং আরজিবি রং হেক্সাডেসিমেলে #A4C639, যেটি গুগলের ব্রান্ড গাইডলাইনে বলা আছেএটির ভিন্ন ব্যবহারের সময় এটিকে নোরাড বলা হয়। এটি শুধু মাত্র টেক্সট বা লেখার লোগোতে ব্যবহার করা হয়

বাজারের অংশ

গবেষনা কোম্পানী "ক্যনালিস" হিসাব করে যে ২০০৯ সালে কোয়ার্টার দুইয়ে এনড্রয়েড বিশ্ব স্মার্টফোন বাজারের .% অংশ আছে ২০১০ সালে কোয়ার্টার চারে পুরো বাজারে তা দাড়ায় ৩৩%, যেটা শীর্ষ স্মার্টফোন বিক্রেতায় পরিণত করে তাদের
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, "কমস্কোর" বলে যে এনড্রয়েড স্মার্টফোন ইউএস বাজরের % দখল করেছে (তখনকার মোবাইল ফোন সাবস্ক্রাইবারদের হিসাব করে) এটি ২০০৯ সালের নভেম্বরে ছিল ·% ২০১০ সালের কোয়ার্টার তিনের শেষের দিকে এটি দাড়ায় ২১·%
২০১০ সালের মে মাসে, ইউএসে এনড্রয়েডের প্রথম কোয়ার্টার বিক্রয়ে প্রতিদ্বন্ধি কোম্পানি আইফোনকে অতিক্রম করে। এনপিডি গ্রুপের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এনড্রয়েড ২৫% বাজার অজর্ন করেছে ইউএসে, যেখানে প্রায় % ছিল ডিসেম্বরের কোয়াটারে। দ্বিতীয় কোয়াটারে, এ্যপলের আইফোন অপারেটিং সিস্টেম ১১% বেড়ে যায় এতে বুঝা যায় যে এনড্রয়েড আসলে আরআইএমের (ব্ল্যাকবেরি মোবাইল প্রস্তুতকারক) কাছ থেকেই বাজার দখল করছিল এবং তাদেরকে এখনো প্রচুর প্রতিযোগিতা করতে হবে বিভিন্ন সেবাদাতাদের নতুন নতুন সেবার বিরুদ্ধে এবং ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করেতে বিশ্লেষকরা আরো বলেন যে, এনড্রয়েডের একটি সুবিধা হল এটি মাল্টি-চ্যানেল, মাল্টি-ক্যারিয়ার ওএস, যেটা তাদেরকে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ মোবাইলের মত সাফল্য পেতে সহায়তা করবে
২০১১ সালের মে মাসে গুগল বলে যে, প্রতিদিনই ,০০,০০০ নতুন এনড্রয়েড মোবাইল সচল হচ্ছে যেখানে সেটি প্রতিদিন ,০০,০০০ ছিল ২০১০ সালের মে'তে এবং প্রায় ১০০ মিলিয়ন মোবাইল সচল করা হয়েছে

সংস্করনের ব্যবহার

এই অংশের চিত্রে এনড্রয়েডের বিভিন্ন সংস্করনের ব্যবহার দেখানো হয়েছে প্লে স্টোরে বিভিন্ন স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ থেকে প্রবেশ (সাইন ইন) করার উপর ভিত্তি করে। এটি ৭ দিনের গনণার উপর ভিত্তি করে যা মার্চ ২, ২০১৫ সনে শেষ করা হয়েছে। তাই এই সমীক্ষায় এনড্রয়েড ফোর্ক (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট) তা গননা হয় নি কারন এগুলো গুগল প্লেতে প্রবেশ করে না।
সংস্করণ কোড নাম মুক্তির তারিখ এপিআই লেভেল বন্টন
৫.১.x ললিপপ এমআর ১ মার্চ ৯, ২০১৫ ২২ পাওয়া যায়নি
৫.০.০–৫.০.২ ললিপপ নভেম্বর ৩, ২০১৪ ২১ ৩.৩%
৪.৪.০–৪.৪.৪ কিটক্যাট অক্টোবর ৩১, ২০১৩ ১৯ ৪০.৯%
৪.৩.x জেলি বিন জুলাই ২৪, ২০১৩ ১৮ ৫.৯%
৪.২.x নভেম্বর ১৩, ২০১২ ১৭ ১৯.৪%
৪.১.x জুলাই ৯, ২০১২ ১৬ ১৭.৩%
৪.০.৩–৪.০.৪ আইস ক্রিম স্যান্ডউইচ ডিসেম্বর ১৬, ২০১১ ১৫ ৫.৯%
২.৩.৩–২.৩.৭ জিঞ্জারব্রেড ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১১ ৬.৯%
২.২ ফ্রয়ো মে ২০, ২০১০ ০.৪%
"ইক্লেয়ার ১.৬" এবং "কাপকেক ১.৫" নামে আরো দুটি সংস্করণ রয়েছে। যা বর্তমানে খুব একটা ব্যবহার হয় না বললেই চলে। এছাড়া আরো দুটি সংস্করণ অভ্যন্তরীনভাবে ছাড়া হয়েছিল এরা "এসট্রো" এবং "বেন্ডার" নামে পরিচিত।

 

Post A Comment:

0 comments: