এন্ড্রয়েডের আসল ভার্সনের প্রকাশের পূর্বে বেশ কিছু আপডেট দেখা যায়। এইসব আপডেটগুলো মূল অপারেটিং সিস্টেমে চলার আগে পরিক্ষামূলক দেখা হচ্ছিল। যেখানে বিভিন্ন বাগ (সফটওয়্যারের ভুল) ঠিক করা হয় এবং নতুন ফিচার যোগ করা হয়। সাধারণত, নতুন প্রত্যেকটি ভার্সনের কোড নাম থাকে এর উল্লেখ্যযোগ্য পরিবর্তন এবং বাগ ঠিক করার উপর। আগের আপডেটগুলোর মধ্যে আছে কাপকেক এবং ডোনাট।
কোড নামগুলো আবার বর্ণানুক্রিমভাবে সাজানো যেমন কাপকেক, ডোনাট, এক্লিয়ার, ফ্রোয়ো, জিন্জারব্রেড, হানিকম্ব এবং আসছে আইস ক্রিম স্যান্ডউইচ।
সাম্প্রতিক কিছু ভার্সনের ইতিহাস:
- ২.০/২.১ (এক্লিয়ার) যেটাতে নতুন ধরনের ইউজার ইন্টাফেস, এইচটিএমএল৫ এবং এক্সচেন্জ একটিভসিনক্রনাইজেশন ২.৫ আছে।
- ২.২ (ফ্রোয়ো), এই ভার্সনে দ্রুত গতির জেআইটি কার্যক্ষমতা, ক্রোম ভি৮ জাভাস্ক্রিপ্ট ইন্জিন, এডোবি ফ্ল্যাশ সাপোর্ট এবং ওয়াই-ফাই হটস্পট তিথারিং যোগ করা হয়।
- ২.৩ (জিন্জারব্রেড), ইউজার ইন্টারফেস আরো উন্নত, সফট কিবোর্ড উন্নতি এবং কপি পেষ্ট করার সুবিধা এবং নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশনের সুবিধা।
- ৩.০/৩.১ (হানিকম্ব),ট্যাবলেট ভিত্তিক যেটা বড় পর্দার মোবাইলগুলো সাপোর্ট করে, নতুন বুদ্ধিদীপ্ত ইউজার ইন্টারফেস সুবিধা, মাল্টিকোর প্রসেসর সুবিধা, হার্ডওয়্যার গ্রাফিক্স একসিলারেশন সুবিধা প্রভৃতি। হানিকম্বের এসডিকে ছাড়া হয়েছে এবং এই অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম মোবাইল মটোরোলা এক্সউম বাজারে ছাড়া হয় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। গুগল এই ভার্সনের সোর্স কোড ছাড়েনি। এতে করে মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এন্ডি রুবিন বলেন যে যখন এটি উপযোগী হবে তখন ছাড়া হবে। দেরির কারণ হিসেবে তিনি আরো বলেন(গুগলের একটি অফিসিয়াল ব্লগে), মটোরোলার এক্সউম খুব তাড়াতাড়িই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শেষে হানিকম্বের সোর্স কোড পরে ছাড়া হবে বলে নিশ্চিত করে গুগল সাথে এও বলা হয় যে জিন্জারব্রেড এবং আইস ক্রিম স্যান্ডউইচের সাথে সমন্বয় করে এটা ছাড়া হবে । হানিকম্বের ৩.১ আপডেট ছাড়া হয় ১০ই মে, ২০১১ সালে।
- আইস ক্রিম স্যান্ডউইচ (এখনো ছাড়া হয়নি), এটি জিন্জারব্রেড এবং হানিকম্বের সমন্বয়ে তৈরী একটি অপারেটিং সিস্টেম যাকে কোহেসিভ হোল (cohesive whole) বলা হচ্ছে। ২০১১ সালের ১০ই মে ঘোষনা করা হয় এটি ২০১১ সালের চতুর্থ কোয়ার্টারে ছাড়া হবে।
- বৈশিষ্ট্যবর্তমানে যেসব বৈশিষ্ট্য আছেঃএনড্রয়েড সিস্টেমের হার্ডওয়্যার নকশাহ্যান্ডসেট ডিসপ্লেএটি বড়, ভিজিএ, ২য় মাত্রার গ্রাফিক্স লাইব্রেরী, ৩য় মাত্রার গ্রাফিক্স লাইব্রেরী (ওপেনজিএল ইএস ২.০ উপর ভিত্তি চলে) এবং আগের স্মার্টফোনগুলোর প্রচলিত ডিসপ্লে নকশা সাপোর্ট করে।সংরক্ষণএসকিউলিট, একটি ছোট কিন্তু শক্তিশালী রিলেশনাল ডেটাবেজ সিস্টেম, ব্যবহৃত হয় তথ্য জমা রাখার কাজে।সংযোগএনড্রয়েড যেসব সংযোগ বা যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রযুক্তি সাপোর্ট করে সেগুলো হল জিএসএম/ইডিজিই, আইডিইএন, সিডিএমএ, ইভি-ডিও, ইউএমটিএস, ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই (প্রক্সি সার্ভার দিয়ে কোন সংযোগ নেই এবং এড হক ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক নেই), এলটিই, এনএফসি এবং ওয়াইম্যাক্স।বার্তা প্রেরণ ব্যবস্থাএসএমএস এবং এমএমএস দুটোই সাপোর্ট করে, যাতে থ্রেড টেক্সট মেসেজিং এবং এখন এনড্রয়েড ক্লাউড টু ডিভাইস মেসেজিং ফ্রেমওয়ার্কও (সি২ডিএম) রয়েছে এবং এটি পুশ মেসেজিং সিস্টেমের একটি অংশ।একাধিক ভাষাএনড্রয়েড একাধিক ভাষা সাপোর্ট করে। এনড্রয়েড জিন্জারব্রেড ২.৩ তে এর সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে। এনড্রয়েড ফন্ট রেন্ডারিং করতে পারে না অফিসিয়াল ঘোষনা দেয়ার পরেও যেমন হিন্দি ভাষা।ওয়েব ব্রাউজার
- জাভা সাপোর্টএনড্রয়েডের বেশিরভাগ এপ্লিকেশন লিখা হয়েছে জাভা দিয়ে কিন্তু জাভা ভার্চুয়াল মেশিন প্লাটফর্ম নেই এটাতে এতে করে জাভা বাইট কোড এক্সিকউট করা যায় না। জাভা ক্লাসগুলো ডেলভিক এক্সিকউটেবলে কম্পাইল (রূপান্তর) করে ডেলভিক ভার্চুয়াল মেশিনে চলে। ডেলভিক হল বিশেষ ভার্চুয়াল মেশিনযেটা নকশা করা হয়েছে বিশেষভাবে এনড্রয়েডের জন্য যাতে সেটা ব্যটারির কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করে মোবাইল চালাতে পারে। এতে মেমোরি এবং সিপিইউ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। জে২এমই ব্যবহার করা যাবে থার্ড পার্টি এপ্লিকেশন ব্যবহার করে।বাড়তি হার্ডওয়্যার সাপোর্টএনড্রয়েড ভিডিও/স্থিরচিত্রের ক্যামেরা, টাচস্ক্রীন, জিপিএস, একসিলেরোমিটার, জাইরোস্কোপ, ম্যাগনেটোমিটার, গেমিং কন্ট্রোল, প্রক্সিমিটি এবং প্রেসার সেন্সর, থার্মোমিটার, একসিলারেটেড ২ডি বিট ব্লিট, এবং একসিলারেটেড ৩ডি গ্রাফিক্স সাপোর্ট করে।একাধিক-টাচএনড্রয়েড একাধিক টাচ (একই সময়ে) সাপোর্ট করে। এটি প্রথম যেসব হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা হয় তার একটি হল এইচটিসি হিরো. এই বৈশিষ্ট্যটিকে বন্ধ করে দেয়া হয় কারনেল লেভেল থেকে (সম্ভাবনা হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে সেইসময়ে এ্যপলের প্যাটেন্ট করা টাচ-স্ক্রীন প্রযুক্তির বিধান যাতে লঙ্গন না হয় সে কারনে).সম্প্রতি কিছু হ্যান্ডসেটে এটি আবার দেখা যায় যেমন নেক্সাস ওয়ান এবং মটোরোলা ড্রয়েড।ব্লুটুথএটি এ২ডিপি, এভিসিআরপি, ওপিপি, পিবিএপি, ভয়েস ডায়ালিং এবং কন্টাক্ট বিনিময়। কিবোর্ড মাউস এবং জয়স্টিক সাপোর্টও দিয়ে থাকে (উৎপাদনকারী যদি দিয়ে থাকে অথবা থার্ড পার্টির কাছ থেকে) এবং এনড্রয়েড ৩.০ (হানিকম্ব) এইচআইডি পুরোপুরি সাপোর্ট দেবে।ভিডিও কলিংএনড্রয়েড ভিডিও কল সাপোর্ট করে না কিন্তু কিছু হ্যান্ডসেটে যদি কাষ্টমাইড করা অপারেটিং সিস্টেম থাকে তবে সেটা সাপোর্ট করতে পারে। যেমন স্যামস্যাঙ গ্যালাক্সি এস অথবা গুগল টক দিয়ে (এনড্রয়েড ২·৩·৪)একাধিক কাজমাল্টিটাস্কিকিংয়ের জন্য বিভিন্ন এপ্লিকেশন রয়েছে।ভয়েস ভিত্তিক বৈশিষ্ট্যপ্রথম থেকেই ভয়েস দিয়ে গুগল সার্চ চালু রয়েছে। ভয়েস দিয়ে কল, টেক্সট লেখা, নেভিগেশন করার সুবিধা রয়েছে এনড্রয়েড ২.২ থেকে পরবর্তী ভার্সনগুলোতেতিথারিংএনড্রয়েড তিথারিং সাপোর্ট করে, যা দিয়ে ফোনকে ওয়্যারলেস হটস্পট করা যায়। এনড্রয়েড ২.২'র আগের ভার্সনগুলোতে এটি থার্ড পার্টি সফটওয়্যার দিয়ে সাপোর্ট করা যায়।যেসব মাধ্যম সাপোর্ট করেএনড্রয়েড যেসব অডিও/ভিডিও/স্থির মাধ্যম সাপোর্ট করে তা হলঃ ওয়েবএম, এইচ.২৬৩, এইচ.২৬৪ ( থ্রীজিপি অথবা এমপিফোর কন্টেইনারে), এমপিইজি-৪ এসপি, এএমআর, এএমআর-ডব্লিউবি (থ্রীজিপি কন্টেইনারে), এএসি, এইচই-এএসি (এমপি৪ অথবা থ্রীজিপি কন্টেইনারে), এমপিথ্রী, এমআইডিআই, ওজিজি ভোর্ভিস, এফএলএসি, ডব্লিউএভি, জেপিইজি, পিএনজি, জিআইএফ (যদিও আগের ভার্সনগুলো জিআইএফ সাপোর্ট করত না।, BMPযেসব স্ট্রীম মাধ্যম সাপোর্ট করে
Post A Comment:
0 comments: